স্কুল বন্ধ , বেড়েছে জ্বালানির দাম : পুলকার বাস মালিকরা কাটাই দরে বিক্রি করছেন বাস

28th July 2021 8:38 pm বর্ধমান
স্কুল বন্ধ , বেড়েছে জ্বালানির দাম : পুলকার বাস মালিকরা কাটাই দরে বিক্রি করছেন বাস


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : একদিকে স্কুল বন্ধ তার উপরে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। তাই বাধ্য হয়ে সমস্ত পুলকার বাস বিক্রি করে অন্য পেশায় ফিরতে চাইছেন পুলকারের মালিকরা। জানা গেছে গত প্রায় ছয় মাসে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভিন রাজ্যের কয়েকশো পুলকার বাস কাটিং হয়েছে পানাগর বাজারে। কাঁকসা থানার অন্তর্গত পানাগরের স্ক্রাব ডিলারদের কাছে শতাধিক পুলকার ও বাস কাটাই করে বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলকার মালিকদের দাবি গাড়িগুলি চলাচল না করার ফলে বিকল হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি রোজগার না থাকায় বাসগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গাড়ির মালিকদের।  তাই বাধ্য হয়ে যা চকচক এ বাস লোহার ধরে স্ক্রাপ ডিলার দের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন বাসের মালিকরা। গত বছর থেকে করোনার জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। করণা সংক্রমণ রোধ করার জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ফলে বন্ধ থাকে সমস্ত পরিবহন ব্যবস্থা। করোনার জন্য এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে স্কুল-কলেজ ও চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই গত প্রায় এক বছর ধরে সমস্ত পুল কার ও বাসও চালু না হওয়ার কারণে গাড়িগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে মালিকদের। তার সাথে পুলকারের চালক ও খালাসিরা রুটি রুজির জন্য বাধ্য হয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। স্ক্র্যাপ ডিলার সম্রাট সিং বলেন যেসব গাড়ি পুরনো হয়ে গেছে সরকারি নিয়মে যেসব গাড়ির রাস্তায় চলাচলের মেয়াদ শেষ হয়েছে , চলাচলের যোগ্য নেই সেই সব গাড়ি স্ক্রাব হিসেবে বিক্রি হয়। কিন্তু ঝাঁ-চকচকে একটা আস্ত স্কুল বাস লোহার ধরে বাস মালিকদের বিক্রি করতে হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দীর্ঘদিনের লোহার স্ক্র্যাপ ব্যবসায় এই ধরনের ঘটনা তাদের প্রথমবার দেখতে হল। তিনি জানিয়েছেন গত ছয় মাসে কয়েকশো স্কুল বাস কাটিং হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দামের বাস লোহার দরে বিক্রি করেছেন বাসের মালিকরা। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় বিহার ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকেও বহু স্কুল বাস তাদের কাছে লোহার দরে বিক্রি করেছেন বাসের মালিকরা।
পানাগর এর স্কুল বাসের মালিক কিশোর মন্ডল বলেন স্কুল বন্ধ থাকায় বাস থেকে রোজকার বন্ধ হয়ে গেছে তাই স্কুল খোলার কোন নিশ্চয়তা নেই সেই কারণে বাসগুলো দাঁড়িয়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি সহ এলাকার বহু বাস মালিক লোকসান থেকে বাঁচতে গাড়িগুলির কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। দুই বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর পুলকার বিকেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক টোটন দাস জানিয়েছেন দুই জেলার ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার পুলকার ছিল তাতে ৩০ হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ছিল গাড়ি গুলি নষ্ট হচ্ছে বিক্রি করতে চাইলে কেউ কিনছে না তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া যে যা পারছে করছে স্কুল খোলা অনিশ্চিত থাকায় বাধ্য হয়ে সকলেই অন্য পেশা বেছে নিচ্ছে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।